Thursday, June 19, 2025

IRAN ISRAEL WAR 2025

 13 জুন 2025, হঠাৎ ইস্রায়েল কর্তৃক ইরানের উপর আক্রমণ বিশ্ব কে  হতবাক করেছে  | ইস্রায়েল  মনে করছে আশেপাশের দেশগুলির (জর্দান, সিরিয়া, লেবানন , মিশর ) মতো ইরানকে দখল করে নিবে | কিন্তু ইরান তার দাঁত  ভাঙা জবাব দিয়েছে | ধন্যবাদ ইরানকে |

একমাত্র মুসলিম দেশ যে ইসরাইলকে মোকাবিলা করতে পারে  | নেতানিয়াহু ট্রাম্প এর বক্তব্য থেকে বোঝা যায় আমেরিকার পরোক্ষ  যোগসাজশে ইস্রায়েল এই আরেকটি স্বাধীন সারভৌম দেশের উপর হঠাৎ আক্রমণ করে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্গন করেছে | আন্তর্জাতিক আদালতে এই দুই  দেশের শাস্তি হওয়া দরকার |

ইরান একমাত্র মুসলিম দেশ যে ফিলিস্তিনিদের মনে সাহস যোগাচ্ছে| অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলির এখনই সময় সেই ইরানকে যেকোনো ভাবে সহায়তা করা| কোনোভাবেই ইরানকে যেন ইরাকের মতো হতে না হয় |আরব রাষ্ট্র গুলির উচিৎ জরুরি মিটিং করে আমেরিকাকে এই যুদ্ধ থেকে দূরে রাখা |

বিশ্বের  জানা আছে যে, মিথ্যা কারণ দেখিয়ে বুশ ইরাক আক্রমণ করেছিল ২০০৩ সালে  | ইরাক আক্রমণের পর দেখা গেল ইরাকে আসলে কোন পরমাণু অস্ত্র নেই | যে মিথ্যা কারণ দেখিয়ে আমেরিকা তার সহযোগীদের নিয়ে একটি স্বাধীন সারভৌম দেশকে ধ্বংস করছিল, অন্যায় ভাবে সাদ্দাম হোসাইন কে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে মৃত্যু দিয়েছিল তার  পুনরাবৃত্তি বিশ্ব আর দেখতে চায় না |

এখন থেকেই পাকিস্তান, তুরস্ক, চীন রাশিয়া আরব রাষ্ট্র গুলিকে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে | অন্য মহাদেশ থেকে এসে আমাদের এশিয়া মহাদেশে আমাদেরই আরেক প্রতিবেশী দেশের উপর জোরপূর্বক অবৈধ অস্ত্র অর্থের অহংকার দেখিয়ে অবৈধভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে ,  দেশের প্রাকৃতিক তেল সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে যাবে এটা আমরা এশিয়ান হিসাবে কিছুতেই হতে দিবো নাএভাবেই এশিয়ান রাষ্ট্র গুলিকে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হতে হবে  |

এরজন্য যে অস্র সহায়তা দরকার আশা করি তা চীন, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া যোগান দিতে পারবে | আর এর জন্য আরব রাষ্ট্র অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিকে আর্থিক সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে | যথাযথ হুমকি ধমকি দিয়ে আমেরিকা কে তাড়ানোর ব্যাবস্থা করতে হবে | বর্তমানে মধ্য প্রাচ্যে আমাদের একমাত্র মুসলিম শক্তি ইরানকে বাঁচাতে হবে | ইরান পরাজিত হলে আমাদের এশিয়া পরাজিত হবে, মুসলমানরা পরাজিত হবে | তাই শুধু নিজের স্বার্থ চিন্তা না করে ভৌগোলিক আঞ্চলিক সার্বভোম স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এশিয়ার দেশ গুলোকে এখনই জাগ্রত হতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে |

অবৈধ ভাবে, অন্যায়ভাবে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে 2003 সালে একটি মুসলিম দেশকে ধ্বংস করে সেখানে একটি পুতুল সরকার কায়েম করে আমেরিকা অবিচার প্রতিষ্টা করেছে | কোথায় আর চার পরাশক্তি ? তারা কেন চুপ করে আছে ? কোথায় জাতিসঙ্গ ? তারা কি এর বিচার করতে পেরেছে ? তারা কি আবার 2003 এর পুনরাবৃত্তি দেখতে চাচ্ছে ?

বর্তমানে ইরানকে নিয়ে নাটক তৈরি করছে ট্রাম্প প্রশাসন | শুধু তাদের পারমাণবিক অস্ত্ৰ থাকবে আর কারো অধিকার নাই পারমাণবিক অস্ত্ৰ তৈরি করার | ভারত পাকিস্তান কিভাবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করলো ? তখন তো তাদের কোন মাথা ব্যাথা দেখি নাই | এখন ইরানকে নিয়ে কেন এত মাথা ব্যাথা ?

আক্রমণ করলো ইস্রায়েল আর ধমক দিচ্ছে, আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে ইরানকে | এটাই কি মার্কিন নীতি ? এটাই কি বিচার ? অন্নান্য শক্তিশালী দেশগুলো যদি আমেরিকাকে থামাতে না পারে তবে সামনে শত শত লাদেন আই এস যুদ্ধা তৈরি হবে তখন এর খেসারত দিতে হবে আমেরিকা তার সহযোগী দেশগুলিকে|

জোড় যার মুল্লক তার এই নীতিতে হাটছে আমেরিকা | বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবিচার সন্ত্রাস কায়েম করতে যাচ্ছে | কিন্তু আর কতদিন চলবে এই অবিচার সন্ত্রাস ? অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি কি নিজেদের বিবেক বুদ্ধি ভুলে গিয়ে অন্ধ সাপোর্ট দিয়ে যাবে এই জালিম দেশটিকে?

কোথায় আরব বিশ্ব ? তারা কি চায় ইরাকের মতো অন্যায় ভাবে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে আরেকটি মুসলিম দেশকে ধ্বংস করুক | তারা কি এখনো আমেরিকার সাথে বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করবে না? মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন ঘাঁটি সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিবাদ করবে না ?

বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের কান্ডারি ইরান | এই দেশকে ধরে রেখে মুসলমানদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে | এই ব্যাপারে অর্থাৎ যুদ্ধ বন্ধের জন্য আরব বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে | তাদের ভিতরে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে | ইসলাম ধর্মের নিয়ম নীতি অনুসরণ করে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে |

তুরষ্ককেও এই ব্যাপারে আগাতে হবে | প্রয়োজনে ইসলামের স্বার্থে তাদেরকে NATO ত্যাগ করতে হবে | সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের সংঘ ত্যাগ করে ইসলামের পতাকা তলে আসতে হবে | ওসমানী আব্বাসীয় খেলাফতের পুনর্জাগরণ ঘটাতে হবে |তবে এখন আর তলোয়ার নয় আধুনিক অস্ত্র বানাতে হবে প্রয়োজনে মুসলিম রাষ্ট্র গুলির সাথে বৈঠক করে চাঁদা আদায় করে অন্য দেশ থেকে আধুনিক অস্ত্র কিনে আনতে হবে |

আমরা মুসলমানরা সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবো না | বীরের মতো আমাদের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়ব| আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে | অন্যথায় পরকালে যে দীর্ঘ জীবন অপেক্ষা করছে তারজন্য আল্লাহর কাছে জবাব দিহি করতে হবে |

ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ার জন্য | পড়ার পর মতামত দিন কমেন্ট সেকশন | আপনার বন্ধু বান্ধব বিভিন্ন ফোরাম শেয়ার করে মানুষকে মোটিভেট করুন যুদ্ধ বন্ধের জন্য | 

 

No comments:

Post a Comment