পুলিশ কি সত্যি জনগণের বন্ধু ?

 সম্প্ৰতি ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘটিত হয়েছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হলো দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। জনগণ যাতে দিনের বেলা তার স্বাভাবিক কাজ করতে পারে এবং রাতের বেলায় যাতে নির্বিগ্নে ঘুমাতে পারে তার ব্যবস্থা করা। 

পুলিশ জনগণের দেয়া ট্যাক্স থেকে বেতন নিচ্ছে তাই দুর্যুগ মুহূর্তে তাদের উচিৎ জনগণের পাশে থাকা কিন্তু অগাস্ট এর ৫ তারিখ এর পর থেকে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি ? দেশের বিভিন্ন জাগায় যখন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বেড়ে যাচ্ছে তখন তারা কাজে যোগদান না করে তাদের দাবি আদায়ের জন্য কর্ম বিরতি পালন করছে। তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা তারা কি সত্যি জনগণের বন্ধু ?

সম্প্রতি নতুন IGP রাজারবাগে এক সমাবেশে আলোচনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের ১১ দফা দাবি আদায়ের জন্য সমাবেশে হট্টগুল শুরু করে। এটা কি তাদের ঠিক হয়েছে? আমার মতে কিছু পেতে হলে আগে দিতে হয়। তারা আগে জনগণের জান মাল রক্ষা করতে আগায়ে আসুক সাথে সাথে যোক্তিক দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাক।  আমার মতে এটাই হবে যুক্তিযুক্ত। 

কোটা সংস্কারের সময় বাংলাদেশ পুলিশ যে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে সেটাকে ফিরিয়ে আনার জন্য তাদেরকে কাল বিলম্ব না করে ঠিক এই মুহূর্তেই তাদের কাজে যোগদান করা উচিৎ। এখন নড়োবড়ো একটি সরকারকে  চাপ না দিয়ে জনগণের ভোটে যখন নতুন সরকার আসবে তখন তাদের দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য কর্মসূচি দিতে পারবে।  চাপ দিতে পারবে। 

তাদের জানা উচিৎ বিপদের সময় প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় জানা যায়। তাই আশা করি পুলিশ ভাইয়েরা যদি জনগণের প্রকৃত বন্ধু হতে চান তাহলে তারা আজ ও এখন থেকেই যার যার কাজে যোগদান করবেন। 




Comments

Popular posts from this blog

Education of Rural Area in Bangladesh

Money Transfer from Bangladesh

Travel Agency in Dhaka